নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এ বছর বন্যায় বেড়েছে নৌকার কদর তাই হাসি ফুটেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের নৌকা বানানোর কারিগরদের মুখে। অন্যান্য বছরের তুলোনায় এবার বর্ষায় খাল-বিলে পানি বাড়ার পাশাপাশি নৌকার চাহিদা বেশি থাকায় লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নৌকা মিস্ত্রিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোবিন্দপুর গ্রামে নৌকা বানানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন অনেকে। আশপাশের বিভিন্য এলাকার ক্রেতারাও আসছেন দেখে শুনে চাহিদা মত নৌকা কেনার জন্য। কেউ এসে আগাম বায়না করছে পছন্দ মত নৌকা বানানোর জন্য। অনেকে আবার আগে থেকে বানিয়ে রাখা নৌকাই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
গোবিন্দপুর গ্রামের নৌকা তৈরির কারিগরদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আমরা সব সময় টাকা ধার করে এ ব্যবসা করে থাকি। গত বেশ কয়েক বছর নৌকা তৈরি করে অনেক লোকসান দিতে হয়েছে তবে এবার পানি বেশি হাওয়াতে নৌকার চাহিদা বেশি। দীর্ঘদিন পরে এবার ভাল ব্যবসা হয়েছে । সুখ হাসি দিয়ে বলেন, বৌ ছেলে মেয়ে নিয়ে ভালো ভাবে দিন কাটাতে পারবো ।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আকার ভেদে প্রতিটি নৌকা ৩ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। প্রত্যেক বছর বন্যার সময় নৌকা বিক্রি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে কালের বিবর্তনে কোষা, বজরা, গয়নার নৌকা হারিয়ে গেলেও এখন এখানে বিক্রি হচ্ছে ডিঙি নৌকা।
আরেকজন নৌকা বানানোর ব্যবসায়ি আলী জানান, নৌকা বিক্রি তাদের পৈত্তিক ব্যবসা। বাড়িতেই তাদের কারখানা । দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ থেকেই কিশোর বয়সে বাবার সঙ্গে নৌকা তৈরির কাজ করতেন তিনি। তখন ১২ হাত লম্বা একটি ডিঙি নৌকা ছয়শ থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকায় বিক্রি হতো। এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার টাকায়। বর্ষায় আগের দিনে ডিঙি নৌকার কদর বেশি ছিল। এখন সড়কপথে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় নৌকার কদর কমে গেছে। আগের দিনে সারা বছর নৌকার চাহিদা থাকত। তাই বিক্রি ভালো হতো। বর্তমানে ব্যবসা খুবই মন্দা। মিস্ত্রির মজুরি অনেক বেশি। তাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
- প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রূপসী নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের পাঠাগার সমৃদ্ধিকরণ
- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- নবকিশালয় হাইস্কুল এন্ড গার্লস কলেজ এমপিওভুক্ত
অন্যান্য বছরের তুলোনায় এবার চার দিকে পানি বেশি হওয়ায় নৌকার দামও বেশ চড়া। আগে যে নৌকা ৪ হাজার টাকা হলে কেনা যেত এখন সেই মাপের নৌকা ক্রয় করতে গুনতে হচ্ছে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। এবারের বন্যায় নৌকা ব্যবসায়িরা অনেক লাভবান হয়েছে।